কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় জানুন ২০২৫

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন সে সম্পর্কে জানার জন্য আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকি। আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে প্রবাসে যেতে আগ্রহী তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অর্থের সমস্যা। আর এই সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য লোন প্রদান করে থাকেন।

কোন-কোন-ব্যাংক-প্রবাসী-লোন-দেয়-২০২৫

প্রবাসীরা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে অমূল্য রত্নভান্ডার। কেননা তারা প্রতিবছর দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশে অনেক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অথবা রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকেন।এজন্য, বাংলাদেশ থেকে যেসব ভাইয়েরা প্রবাসে গিয়ে অর্থ উপার্জন করতে যান তাদের জন্য রয়েছে প্রবাসী লোনের সুবিধা। তাই, আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব যে, কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় ২০২৫ সে সম্পর্কে। 

পেইজ সুচিপত্র: কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় ২০২৫ 

প্রবাসী লোন কি

প্রবাসী লোন কি সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। প্রবাসী লোন হচ্ছে এমন এক ধরনের লোন ব্যবস্থা যা শুধুমাত্র প্রবাসীদের ক্ষেত্রে প্রদান করা হয়। যারা বিদেশে কর্মরত রয়েছে অথবা বিদেশে বসবাসরত অবস্থায় রয়েছে তাদের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করে থাকেন। 

সাধারণত, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে যাতে একজন বাংলাদেশী নাগরিক দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করে বাংলাদেশ অর্থ পাঠাতে পারেন সেজন্য। এই প্রবাসী লোন সাধারণত বিদেশ যাওয়ার খরচ বহনের জন্য অথবা বাড়িঘর নির্মাণ অথবা ছোট ব্যবসা করার জন্য এই ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রবাসী লোন শুধুমাত্র বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। 

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় ২০২৫ 

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় ২০২৫ সম্পর্কে জানার জন্য আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকি। বাংলাদেশে প্রবাসী লোন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশী প্রবাসীদের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা কোন ব্যবসা করার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকেন। নিচে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় ২০২৫ সে সম্পর্কে। 
  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
  • সোনালী ব্যাংক
  • অগ্রণী ব্যাংক
  • জনতা ব্যাংক
  • রূপালী ব্যাংক
  • ব্র্যাক ব্যাংক
  • ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
  • ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
  • সিটি ব্যাংক
  • ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক
উপরের দেওয়া ব্যাংকগুলো সাধারণত প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকেন। কিন্তু এসব ব্যাংকের সুদের হার, ঋণের পরিমাণ, কিস্তির পরিমাণ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এসব ব্যাংকের মধ্যে প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাংক হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। এই ব্যাংক প্রবাসীদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ প্রদান করে থাকেন। 

এই ব্যাংকগুলোর ঋণের ধরন বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক গুলো সাধারণত অভিবাসন ঋণ, পূর্ণবাসন ঋণ, কর্মসংস্থান ঋণ, শিক্ষা ঋণ, গৃহঋণ, কৃষি ঋণ, ব্যবসায়ীক ঋণ, স্বল্পমেয়াদী, এবং দীর্ঘমেয়াদ ী ঋণ প্রদান করে থাকে। আপনারা বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি আর্থিক সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে এসব ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রবাস যেতে পারবেন। 
বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ঋণ প্রদান করে থাকেন। কিন্তু এসব ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০১১ সাল থেকে তাদের যাত্রা শুরু করেন। নিচে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে যে কোন কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজন। 

প্রবাসী লোন দেওয়ার শর্তগুলো কি কি

প্রবাসী লোন দেওয়ার শর্তগুলো কি কি সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই বিস্তারিত জানতে চাই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব প্রবাসীর লোন নেওয়ার জন্য কি কি শর্ত মেনে চলতে হবে। প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। শর্তগুলো হচ্ছে: 
  • লোনের জন্য আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। 
  • লোনের জন্য আবেদনকারীর একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে
  • আবেদনকারীর একটি বৈধ ভিসা থাকতে হবে। 
  • আবেদনকারীর নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়ের প্রমাণ থাকতে হবে। 
  • এছাড়াও, আবেদনকারীর জন্য একটি জামিনদারের প্রয়োজন হবে যিনি আবেদনকারী যদি ঋণ পরিশোধ না করতে পারেন সে ক্ষেত্রে জামিনদারের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। 
প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই উপরে শর্তগুলো মেনে চলতে হবে। উপরের যেকোনো একটি শর্ত যদি আপনি না মানতে পারেন তাহলে আপনাকে প্রবাসী লোন প্রদান করা হবে না। 

প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কেননা আপনারা যদি প্রবাসী লোন নিতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আপনি যদি আবেদন করতে না জানেন তাহলে আপনাকে কোনভাবেই লোন প্রদান করা হবে না। 
কোন-কোন-ব্যাংক-প্রবাসী-লোন-দেয়-২০২৫
প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য, আপনি যে ব্যাংক থেকে লোন নিতে আগ্রহী সে ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি যেহেতু ঋন নিবেন সেহেতু আপনাকে ঋণ আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। 

তারপরে আপনাকে আবেদন পত্রটি নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে এবং পূরণ করা সম্পূর্ণ হলে আপনাকে আবেদন পত্রটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর তারা আপনার আবেদন পত্রটি যাচাই-বাছাই করবে এবং আপনি যদি ঋণ দেওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ঋণ অনুমোদন প্রদান করা হবে। 

প্রবাসী লোন কারা কারা নিতে পারবে

প্রবাসী লোন কারা কারা নিতে পারবে সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই বিস্তারিত জানি না। বাংলাদেশের অনেকেই প্রবাসী লোন নিতে আগ্রহী হয়ে থাকেন কিন্তু সবাইকে প্রবাসী লোন প্রদান করা হয় না। প্রবাসী লোন দেওয়ার জন্য তাদের বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হয়। প্রবাসী লোন শুধুমাত্র তাদের প্রদান করা হয়ে থাকে যারা ভিসার আবেদন করার পরে ভিসা অনুমোদন হয়েছে। 

সহজ ভাষায়, প্রবাসে যাওয়ার জন্য যাদের কাছে বৈধ ভিসা এবং পাসপোর্ট রয়েছে তারাই কেবলমাত্র প্রবাসী লোন নিতে পারবেন। আপনাকে সর্বপ্রথম এই লোন নেওয়ার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার ভিসা কার্য সম্পন্ন হয়ে গেলে ভিসা আপনার হাতে পাওয়ার পর আপনি প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 
এছাড়াও আপনাকে আপনার ভিসার মেয়াদের উপর নির্ভর করে লোন প্রদান করা হবে। আপনি যদি প্রবাসী লোন নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে অর্থ উপার্জন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আগে আপনার ভিসা সম্পন্ন করতে হবে। আপনার ভিসা সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, প্রবাসী লোন কাদের প্রদান করা হয়ে থাকে। 

প্রবাসী লোন নেওয়ার সুবিধা 

প্রবাসী লোন নেওয়ার সুবিধা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। প্রবাসী লোন নেওয়ার বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। নিচে প্রবাসী লোন নেওয়ার সুবিধা আলোচনা করা হলো : 
  • অল্প সময়ের মধ্যে লোন নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন। 
  • লোন পরিশোধ করার জন্য কয়েক বছর সময় পাবেন। 
  • লোন পরিশোধ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্রেডিট স্কোর বৃদ্ধি করতে পারবেন। 
  • এর মাধ্যমে আপনি পরবর্তীতে আরও বেশি পরিমাণ অর্থ লোন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 
  • লোন নেওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ। 
  • খুব দ্রুত লোনের অনুমোদন প্রদান করা হয়। 
  • সুদের হার অনেক কম হয়ে থাকে। 
  • সহজ কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। 

প্রবাসী লোন নেওয়ার অসুবিধা

প্রবাসী লোন নেওয়ার অসুবিধা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই। প্রবাসী লোন নেওয়ার যেমন নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে তেমনি রয়েছে কিছু অসুবিধা। নিচে, প্রবাসী লোন নেওয়ার অসুবিধা গুলো আলোচনা করা হলো: 
  • প্রবাসী লোন গ্রহণ করলে আপনাকে অবশ্যই সুদ সহকারে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। 
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে জরিমানা প্রদান করতে হবে। 
  • লোন নেওয়ার সময় অবশ্যই একটি জামিনদারের প্রয়োজন হয় যা পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। 
  • এছাড়াও লোন নেওয়ার জন্য পৌরসভা থেকে সনদপত্র নেওয়া প্রয়োজন হয় যা বেশ ঝামেলা। 

প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়

প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছু ডকুমেন্ট এবং কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। এসব কাগজপত্র যদি আপনি ব্যবস্থা করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে। প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য নিচের কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবে: 
  • বৈধ ভিসার ফটোকপি। 
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। 
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। 
  • আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি। 
  • আয়ের প্রমাণপত্র। 
  • কর্মসংস্থানের প্রমাণ। 
  • ইউনিয়ন অথবা পৌরসভার সনদপত্র। 
  • একজন জামিনদার। 
প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই এসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এসব কাগজপত্র জমা দিয়ে আপনাকে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। তারপর ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে আপনাকে জানিয়ে দিবে। যদি আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে লোন প্রদান করা হবে। 

প্রবাসী লোনের মেয়াদ এবং লোন পরিশোধের নিয়ম

প্রবাসী লোনের মেয়াদ এবং লোন পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই। এজন্য আমরা প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকি কিন্তু আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য কোথাও খুঁজে পাই না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা আলোচনা করব প্রবাসী লোনের মেয়াদ কতদিন থাকে এবং লোন পরিশোধ করার নিয়ম কি। 

প্রবাসী লোনের মেয়াদ সাধারণত ব্যাংকের উপর নির্ভর করে। একেক ব্যাংকের মেয়াদ সাধারণত ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আপনি কত টাকা লোন নিতে চাচ্ছেন তার উপরে নির্ভর করে আপনাকে লোনের মেয়াদ প্রদান করা হবে। আর এই প্রবাসী লোন পরিশোধ করার নিয়ম সাধারণত মাসিক আকারে হয়ে থাকে। মাসিক কিস্তির মাধ্যমে প্রবাসী লোন পরিশোধ করতে পারবেন। 

প্রবাসী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার কত

প্রবাসী লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার কত সে সম্পর্কে আমরা অনেকে জানতে চাই। প্রবাসী লোন নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই সুদের হার সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি যদি সুদের হার সম্পর্কে না জেনেই লোন নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করতে হতে পারে। তাই প্রবাসী লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
  • পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯% 
  • নারীদের ক্ষেত্রে ৭%

অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন

অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসী লোন বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঋণ প্রদান করে থাকেন। অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য ঋণ প্রদান করেন এবং তাদের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন। অগ্রণী ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য যে ঋণ প্রদান করে থাকেন তাকে প্রবাসী ঋণ প্রকল্প নাম দেওয়া হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকেন। 

কোন-কোন-ব্যাংক-প্রবাসী-লোন-দেয়-২০২৫
এবং অগ্রণী ব্যাংকের এই ঋণ সাধারণত দেড় বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। অগ্রণী ব্যাংকের সুদের হার সাধারণত ৯ পার্সেন্ট। অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র, আয়ের প্রমাণ ইত্যাদি ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে। এই ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন মাসিক কিস্তির ভিত্তিতে। 

ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন

ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে থাকেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের পরিচিত একটি ব্যাংক। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে আপনারা তেমন বেশি পরিমাণ ঋণ নিতে পারবেন না। ডাচ বাংলা ব্যাংক সাধারণত প্রবাসীদের জন্য পূর্ণবাসন ঋণের ব্যবস্থা করে থাকেন। এবং ঋণের পরিমাণ আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হয়। 

ব্রাক ব্যাংক প্রবাসী লোন

ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসী লোন এর মাধ্যমে আপনারা লোন নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ব্যাংকিং সিস্টেম। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে আপনারা সর্বোচ্চ বিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য পূর্ণবাসন ঋণ অথবা ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ প্রদান করে থাকেন। 

ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, আয়ের প্রমাণ ইত্যাদি ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে এবং একজন জামিনদারের প্রয়োজন হবে। ব্র্যাক ব্যাংক রেমিটেন্স এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকেন। এ ব্যাংকের ঋণ আপনারা মাসিক কিস্তির ভিত্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। 

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এই ব্যাংক সাধারণত ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক অর্থ প্রদান করে। ইসলামী ব্যাংক পূর্ণবাসন ঋণ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণ প্রদান করে থাকে। এবং ইসলামী ব্যাংকের সুদের হার মুনাফা ভিত্তিক হয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য পাসপোর্ট, ভিসা, জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি ডকুমেন্ট প্রয়োজন। 

সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন

সোনালী ব্যাংক প্রবাসী লোন বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকেন। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ব্যাংকিং সিস্টেম। সোনালী ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য যে অর্থের ব্যবস্থা করে থাকেন তারা তার নাম দিয়েছেন প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ প্রকল্প। সোনালী ব্যাংক সাধারণত সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকেন।

এবং সোনালী ব্যাংকের এই ঋণ পরিশোধ করার মেয়াদ সাধারণত তিন বছর হয়ে থাকে। সোনালী ব্যাংকের এসব লোনের সুদের হার সাধারণত ১২% হয়ে থাকে। 

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই বিস্তারিত জানতে চাই। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে আপনাকে যেকোনো একটি ক্যাটাগরি বেছে নিতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আপনি কত টাকা লোন পেতে পারেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি কোন দেশে যাচ্ছেন এবং আপনার কাজের ধরনের উপরে। 

আপনি যদি অভিবাসন ঋণের ক্যাটাগরিতে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বোচ্চ এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হবে। এছাড়াও, আপনি যদি অভিবাসী পরিবার ঋণ ক্যাটাগরিতে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হবে। এছাড়া আপনি যদি পূর্ণবাসন ঋণ ক্যাটাগরির জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হবে। 

শেষ মন্তব্য: কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় ২০২৫

প্রিয় পাঠক, আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় ২০২৫ সম্পর্কে। আশা করা যায়, এ পোস্টের মাধ্যমে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন কোন কোন ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করে থাকেন। যদি আপনার কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি

comment url