ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫
কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় জানুন ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫ সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনারা যারা ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে ইচ্ছুক কিন্তু জানেন না কিভাবে ইসলামী ব্যাংকে প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে হয় তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।
আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কিভাবে আপনারা ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করবেন এবং ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয় সে সম্পর্কে। বিস্তারিত জানার জন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫ সম্পর্কে পড়তে থাকুন।
পেইজ সুচিপত্র: ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন কে কে নিতে পারবেন
- কিসের জন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করেন
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে কোন খাতে ?
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর সময়সীমা কত
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের উদ্দেশ্য
- ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতির সুবিধা
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়
- ইসলামী ব্যাংক সিসি লোন নেওয়ার উপায়
- ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন পদ্ধতি
- শেষ মন্তব্য: ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন
? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা, আজকের এই
পোস্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি
সম্পর্কে। আপনারা যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে আগ্রহী হয়ে
থাকেন তাহলে এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ব্যাংকিং সিস্টেম। ইসলামী ব্যাংকের
মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই প্রবাসী লোন নিতে পারবেন। এজন্য, আপনার
অবশ্যই কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ভিসা সম্পূর্ণ করতে
হবে। কেননা, আপনার যদি একটি ভিসা না থাকে তাহলে আপনি ইসলামী ব্যাংকের
প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
এজন্য, আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিয়ে বিদেশে গিয়ে অর্থ
উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সর্বপ্রথম ভিসার জন্য আবেদন করতে
হবে। ভিসার জন্য আবেদন করার পর আপনার ভিসা যখন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন আপনি
ইসলামী ব্যাংকে প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনার যদি একটি ভিসা থেকে থাকে তাহলে আপনাকে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন
দেওয়া হতে পারে। এজন্য সর্বপ্রথম আপনার ভিসা সম্পূর্ণ করে
নিন। ভিসা হাতে পেলে তারপর আপনাকে সরাসরি চলে যেতে হবে ইসলামী ব্যাংকের
যেকোনো শাখায়। ইসলামী ব্যাংকের যেগুলো শাখায় গিয়ে আপনি সেখানকার
কর্মকর্তাদের বলবেন যে আমি প্রবাসী লোন নিতে ইচ্ছুক।
তারপর তারা আপনাকে প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে
বলবে।আপনাকে নির্ভুলভাবে আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে এবং কিছু প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখায় জমা দিতে হবে। ইসলামী ব্যাংক থেকে
প্রবাসী লোন নেওয়ার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্ট প্রয়োজন
হবে।
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার ভোটার
আইডি কার্ড, আপনার পাসপোর্ট, আপনার ভিসা ইত্যাদি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের
শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও আপনার কাজের প্রমাণ, আয়ের প্রমাণ সহ
একজন জামিনদার প্রয়োজন হবে যিনি আপনার বদলে আপনার টাকার রিক্স নিতে পারবে।
এভাবে, খুব সহজেই আপনি আপনার আবেদন ফরম পূরণ করে তারপর আপনার প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখায় যোগাযোগ করতে
পারবেন। আপনার আবেদন ফরমটি জমা দেওয়ার পর আপনি যদি লোন
পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে ইসলামী ব্যাংক থেকে
আপনাকে প্রবাসী লোন প্রদান করা হবে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয় সে সম্পর্কে জানার জন্য আমরা
অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগল এ সার্চ করে থাকি। আপনারা যারা ইসলামী
ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে ইচ্ছুক তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই জানা
জরুরী যে , ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয় সে
সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা
দেয়?
ইসলামী ব্যাংক তাদের লোন কে লোন হিসাবে বিবেচনা করে
না। তারা লোন দেওয়াকে ইনভেস্টমেন্ট হিসাবে অথবা বিনিয়োগ
হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।এক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রয়োজন
অনুযায়ী লোন নিতে পারবেন। আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে ইসলামী
ব্যাংক থেকে আপনি ১ মিলিয়ন থেকে শুরু করে ১০০ মিলিয়ন
পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে কিছু
শর্ত মেনে তারপরে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে
। আপনাকে ইসলামী ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন দেওয়া হবে তা
সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ব্যাংক একাউন্ট , টাকার লেনদেন
, এবং অর্থ জমা দেওয়া সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ের
উপরে। কিন্তু প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন
রকমের অর্থ প্রদান করে থাকেন।
প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে
শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকেন
। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইসলামী ব্যাংকের সদস্য হতে
হবে।এছাড়াও আপনি যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে
চান সেক্ষেত্রে আপনার মাসিক আয় এবং লোনের উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি
করে লোন প্রদান করা হবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সে
সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আপনারা যদি ইসলামী ব্যাংক
থেকে প্রবাসী লোন নিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কিছু
ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। নিচে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হল যে
ইসলামি ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
হয়:
- একটি বৈধ পাসপোর্ট ।
- আয়ের প্রমাণপত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- আপনার ভিসা
- কর্মসংস্থানের প্রমাণ।
- ইউনিয়ন অথবা পৌরসভার সনদপত্র।
- একজন জামিনদার।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
ইসলামী ব্যাংক থেকে যদি আপনি লোন নিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার
অবশ্যই ৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি অথবা এফডিআর থাকতে
হবে। আপনার যদি এফডিআর অথবা সম্পত্তি না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনাকে লোন
প্রদান করা হবে না ।
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন কে কে নিতে পারবেন
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন কে কে নিতে পারবেন সেই সম্পর্কে জানার
জন্য আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগল এ সার্চ করে থাকি।
ইসলামিক ব্যাংক তাদের সিস্টেম এমনভাবে পরিচালনা করে যে আপনারা যদি বিদেশ
থেকে ইসলামি বাংকে টাকা পাঠান সেক্ষেত্রে তারা আপনাকে মুনাফা সহ অর্থ ফেরত
দিয়ে থাকেন।
- যে সকল মানুষ বিদেশের রয়েছেন এবং নিয়মিত ইসলামি ব্যাংক এর মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংক অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।
- আপনার যদি একটা ভিসা থেকে থাকে এবং আপনি বিদেশ যাওয়ার জন্য লোণ নিতে চান সেক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংক আপনাকে লোণ প্রদান করবে।
- আপনার যদি একটা ইসলামি ব্যাংক এ একাউন্ট থাকে এবং আপনি লেনদেন করেন নিয়মিত এবং আপনি বিদেশ যেতে চান সেক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংক আপনাকে লোণ প্রদান করবে।
কিসের জন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করেন
কিসের জন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করেন সে সম্পর্কে আপনারা অনেকেই
জানতে চান। ইসলামী ব্যাংক লোণ প্রদান করা প্রধান কিছু কারণ নিচে দেওয়া
হল:
- প্রবাসীদের লোন দেওয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করেন।
- অর্থ পাচার বন্ধ করার জন্য এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করার জন্য।
- বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর যাতে প্রবাসী ভাইয়েরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেদের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে সেজন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করেন।
- নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করেন।
- বাংলাদেশের যাতে রেমিটেন্স অনেক বৃদ্ধি পায় সেজন্য ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করেন।
উপরের দেওয়া কারণ গুলোর কারনেই ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকেন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে কোন খাতে ?
বিভিন্ন খাতে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকেন। নিচে আপনাদের
সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হল যে কোন খাতে ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে
থাকেন।
- গাড়ি লোন স্কিম (CIS)
- ছোট ব্যবসা লোন স্কিম(SBIS)
- মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লোন স্কিন (MIIS)
- রিয়াল এস্টেট লোন program (REIP)
- ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন স্কিম
- মহিলা উদ্যোক্তা লোন স্কিম (WEIS)
- হাউজহোল্ড লোন স্কিম
- প্রবাসী লোন ( এনআরবি)
- উদ্যোক্তা লোন স্কিম(NEIS)
- রিয়েল এস্টেট লোন (বাণিজ্যিক এবং কার্যকরী মূলধন)
- ট্রান্সপোর্ট লোন স্কিম(TIS)
- কৃষি বাস্তবায়ন লোন স্কিম(AIIS)
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর সময়সীমা কত
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন এর সময়সীমা কত আপনি জানেন কি ? ইসলামী ব্যাংক
প্রবাসী লোন এর সময় নির্ভর করে আপনি কত টাকা লোন নিবেন এবং কোন কাজের জন্য লোন
নিবেন তার উপরে। সাধারণত ইসলামী ব্যাংক এর লোণ এর সময় সীমা ১-১০ বছর পর্যন্ত
হয়ে থাকে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের উদ্দেশ্য
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আপনারা জানেন কি ? ইসলামী
ব্যাংক প্রবাসী লোনের পেছনে রয়েছে বিশাল এক উদ্দেশ্য। নিচে ইসলামী ব্যাংক
প্রবাসী লোনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হল:
- আমাদের দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ী দের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য ঋণ প্রদান।
- মানুষের দারিদ্রতা দূর করা এবং বিদেশে থাকা মানুষ কে উৎসাহিত করা।
- নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
- মানুষের জিবনযাত্রার মান উন্নত করা।
- প্রবাসে বসবাসরত মানুশদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতির সুবিধা
ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতির বিভিন্ন রকমের সুবিধা রয়েছে। নিচে আপনাদের
সঙ্গে ইসলামী ব্যাংক লোন পদ্ধতির সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হলো:
- ইসলামী ব্যাংকের সম্পূর্ণ কার্যক্রম ইসলামী নীতিমালা অনুসারে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। যার ফলে গ্রাহকরা স্বস্তির সঙ্গে তাদের লেনদেন পরিচালনা করেন এবং তারা হালাল ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
- ইসলামী ব্যাংক মুরাবা্বা পদ্ধতিতে তাদের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। যার ফলে গ্রাহকরা লোন নেওয়ার মাধ্যমে তাদের অর্থ ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখতে পারে এবং ব্যবসায়িক সম্পদ উন্নত করতে কাজ করে থাকেন।
- ইসলামী ব্যাংক সম্পূর্ণ ইসলামী শরীয়ত অনুসারে পরিচালিত হয় তাই এটি গ্রাহকদের ধার্মিক বিশ্বাস রক্ষা করে এবং হালালভাবে তাদের অর্থ লেনদেন করতে সাহায্য করে।
- ইসলামী ব্যাংক স্বল্প সুদে গ্রাহকদের ঋণ প্রদান করে থাকেন। যার ফলে গ্রাহকরা ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে এবং বেকারত্ব দূর করে।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেকেই বিস্তারিত
জানি না। আপনারা যদি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নিতে আগ্রহী
হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
হবে। তো চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক ইসলামী ব্যাংক থেকে কিভাবে
প্রবাসী লোনের জন্য আবেদন করবেন সে সম্পর্কে।
- ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার ভিসা সম্পন্ন করতে হবে।
- আপনার ভিসা হাতে পেয়ে গেলে আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।
- সেখান থেকে আপনাকে একটা আবেদন ফরম প্রদান করা হবে।
- আবেদন ফরমটি কোনরকম ভুল ছাড়াই পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহকারে সেটি পুনরায় ইসলামী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- জমা দেওয়ার পর তারা আপনার আবেদন ফরমটি যাচাই-বাছাই করে দেখবে।
- আপনি যদি লোন পাওয়ার যোগ্য হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন প্রদান করা হবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার নিয়ম
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে আপনার
অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই, আপনাদের সুবিধার্থে
এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে এ পোস্ট মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত
পড়তে থাকুন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী ভাই বোনেরা পরিবার ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত
উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করার জন্য লোনের আবেদন করে
থাকেন। এজন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য লোনের ব্যবস্থা
করে থাকে। তবে, অনেকে জানেন না কিভাবে লোন নেওয়া যায় এবং লোন
নেওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়।
সাধারণত, ইসলামী ব্যাংকে লোন শব্দটি ব্যবহার করা হয় না। এখানে
মুশারাকা, মুদারাবা, হায়েস সালাম, ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা
হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ব্যাংক প্রবাসী বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে
থাকে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী
ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ইত্যাদি ব্যাংক প্রবাসী লোন প্রদান করে
থাকে।
এই প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং একটি
বৈধ ভিসা থাকতে হবে। এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠাতে
হবে এবং আপনার স্থায়ী আয়ের একটু উৎস থাকতে হবে। প্রবাসী লোন
পাওয়ার জন্য পাসপোর্ট, ওয়ার্ক পারমিট, রেমিটেন্স
রেকর্ড, ইত্যাদি প্রয়োজন।
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয়
ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন কত টাকা দেয় সে সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন
না। ভাই আপনাদের সুবিধা হবে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ইসলামী
ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন সর্বোচ্চ কত টাকা নিতে পারবেন এবং লোন নেওয়ার জন্য
কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে এবং এই সুবিধা কারা কারা ভোগ করতে পারবে সে
সম্পর্কে।
আমাদের দেশের অনেক প্রবাসী ভাইয়েরা বিনিয়োগ, বাড়ি নির্মাণ অথবা
ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে বিনিয়োগ শুরু
করতে পারেন না। তাই প্রবাসী ভাইদের কথা চিন্তা করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ
লিমিটেড প্রবাসী লোন সুবিধা চালু করে। যেখানে, আমাদের দেশের প্রবাসী
ভাইয়েরা তার প্রয়োজন অনুযায়ী লোন নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
প্রবাসী লোন প্রদান করে থাকে। তবে এ টাকার পরিমাণ নির্ভর করে আবেদনকারীর
আয় কত টাকা, দেশের বাইরে কতদিন থেকে কাজ করে, ব্যাংকে রেমিটেন্স
পাঠানোর ইতিহাস এবং জামিনদারের এর উপর ভিত্তি করে। এই লোন পরিশোধ
করার মেয়াদ সাধারণত এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ইসলামী ব্যাংকের প্রবাসী লোন পরিশোধ করার জন্য আপনারা মাসিক অথবা ক্রয়মাসিক
ভিত্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন
নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী
লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার নিচের কাগজপত্র গুলো নিয়ে ইসলামী ব্যাংকে যোগাযোগ
করতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- বৈধ পাসপোর্ট
- বৈধ ভিসা
- বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রমাণ পত্র
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- রেমিটেন্স পাঠানোর রেকর্ড
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি
- জামিনদারের তথ্য
ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে নিকটস্থ ইসলামী
ব্যাংকের যেকোনো শাখা অথবা প্রবাসী ডেস্কে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রবাসী
লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনারা অনেকেই
বিস্তারিত জানতে চান।তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা
হবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড লোন পদ্ধতি সম্পর্কে। ইসলামী ব্যাংক
বাংলাদেশের একটি শীর্ষ ব্যাংক। ইসলামিক ব্যাংক সম্পূর্ণ শরিয়াভিত্তিক
ব্যাংকিং পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিচালনা করা হয়।
ইসলামী ব্যাংকে লোন শব্দের পরিবর্তে বিনিয়োগ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এ
ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সাধারণত মুনাফা ভাগাভাগি করার মাধ্যমে পরিচালিত করা
হয়। ইসলামী ব্যাংক আপনাকে বিনিয়োগের জন্য অর্থ প্রদান করে এবং অর্থের
পরিবর্তে নির্ধারিত আরে মুনাফা গ্রহণ করা হয়। ইসলামী ব্যাংক নিচের
প্রয়োজনগুলোর জন্য বিনিয়োগ করে থাকে।
| ক্রমিক নং | লোন/বিনিয়োগের ধরন | উদ্দেশ্য | সর্বোচ্চ পরিমাণ |
|---|---|---|---|
| ১ | গৃহ নির্মাণ বিনিয়োগ (House Investment) | বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ক্রয় | সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত |
| ২ | প্রবাসী বিনিয়োগ (Probashi Investment) | প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সুবিধা | সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত |
| ৩ | ব্যবসা বিনিয়োগ (Business Investment) | ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার জন্য | প্রয়োজন অনুযায়ী |
| ৪ | শিক্ষা সহায়তা বিনিয়োগ (Education Support) | সন্তান বা নিজের উচ্চশিক্ষার জন্য | সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত |
| ৫ | অটো বিনিয়োগ (Car/Auto Investment) | ব্যক্তিগত বা অফিস ব্যবহারের গাড়ি ক্রয় | সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত |
ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকের যে কোন
শাখায় সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে
লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। লোন নেওয়ার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়
পত্র, পাসপোর্ট, ভিসা, আয়ের প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে।
ইসলামী ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়
ইসলামী ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই
বিস্তারিত জানতে গুগলে সার্চ করে থাকি। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৮৩ সালে। একমাত্র ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র শরীয়
ভিত্তিক ব্যাংকিং সিস্টেম। যেটি বাংলাদেশে চালু করার উদ্দেশ্য
হচ্ছে ইসলামী অর্থনীতি ও সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে ১৯৮৩ সালে এবং এ
ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন মূলধন ছিল প্রায় ৮০ কোটি টাকা। ইসলামী
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক টাওয়ার, ৪০ দিলকুশা,
ঢাকা। ইসলামী ব্যাংকের মূলনীতি হচ্ছে শরিয়াভিত্তিক সুদমুক্ত
ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করা। ইসলামী ব্যাংক শুরুতে শেয়ারহোল্ডার
দেশ গুলোহচ্ছেঃ
- বাংলাদেশ
- সৌদি আরব
- কুয়েত
- বাহারাইন
- জর্ডান
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
ইসলামী ব্যাংক সিসি লোন নেওয়ার উপায়
ইসলামী ব্যাংক থেকে সিসি লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা এখন বিস্তারিত
আলোচনা করব।আমাদের দেশের অনেক মানুষ ব্যবসার কাজে অথবা ব্যবসার মূলধন
বৃদ্ধির জন্য সিসি (Cash Credit Loan) লোন নিতে চান। ইসলামী
ব্যাংক এই সুবিধা শরিয়াভিত্তিকভাবে প্রদান করে যাকে বলা হয়
“বাই-মুয়াজ্জাল” বা “মুরাবাহা বিনিয়োগ”।
লোনের ক্ষেত্রে ব্যাংক আপনাকে নগদ অর্থ প্রদান না করে আপনাকে আপনার
পণ্য অথবা মালামাল ক্রয় করে দিয়ে থাকে। এবং এই অর্থ আপনাকে নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে মুনাফা সহ কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ইসলামী ব্যাংক
থেকে সিসি লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকের যেকোন
শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।
এবং সঙ্গে কিছু কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে। সিসি লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে
আপনার নিচের কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হবেঃ
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট
- ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স
- টিন সার্টিফিকেট অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ব্যবসার ঠিকানা ও ছবি
- জামিনদারের তথ্য
সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর ব্যাংক আপনার তথ্য যাচাই করবে এবং বিবেচনা করবে
যে আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য কিনা। আপনার আবেদনটি যদি গ্রহণ করা হয় সে
ক্ষেত্রে আপনাকে ডাকা হবে এবং চুক্তি সই করতে হবে। তারপর ব্যাংক আপনাকে
আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে দিবে এবং আপনাকে মাসিক ভিত্তিতে কিস্তি
পরিশোধ করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংক সিসি লোনের সীমা
| ক্রমিক নম্বর | ব্যবসার ধরন | বিনিয়োগের পরিমাণ |
|---|---|---|
| ১ | ক্ষুদ্র ব্যবসা | ১–৫ লক্ষ টাকা |
| ২ | মাঝারি ব্যবসা | ৫–৫০ লক্ষ টাকা |
| ৩ | বৃহৎ ব্যবসা | ৫০ লক্ষ টাকার বেশি |
ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক কৃষি লোন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। তা
এখন আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনারা ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি লোন পেতে পারেন
এবং কিভাবে কৃষি লোনের জন্য আবেদন করবেন সকল বিষয়
সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি। আর আমাদের দেশের
কৃষকদের সাহায্যর জন্য ইসলামী ব্যাংক চালু করেছে শরিয়াভিত্তিক কৃষি লোন
সিস্টেম। যে লোনের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় বীজ, সার,
যন্ত্রপাতি ইত্যাদি পণ্য ক্রয় করে দেওয়া হয় এবং এর ভিত্তিতে মুনাফা সহ
কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করতে হয়।
ইসলামী ব্যাংকের কৃষি বিনিয়োগের ধরন
| ক্রমিক নম্বর | বিনিয়োগের ধরন | উদ্দেশ্য |
|---|---|---|
| ১ | ফসল উৎপাদন বিনিয়োগ | ধান, গম, ভুট্টা, সবজি ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য |
| ২ | মৎস্য খাত বিনিয়োগ | মাছ চাষ, পোনা উৎপাদন ও খাদ্য ক্রয় |
| ৩ | পশুপালন বিনিয়োগ | গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালনের জন্য |
| ৪ | বাগান ও ফল চাষ বিনিয়োগ | কলা, আম, লিচু, পেয়ারা, নারকেল ইত্যাদি |
| ৫ | কৃষি যন্ত্রপাতি বিনিয়োগ | ট্রাক্টর, ধান কাটার মেশিন, পানি সেচ পাম্প ইত্যাদি |
ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি লোন সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে
সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে কৃষি
লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ
করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং জমির দলিলসহ ডকুমেন্ট নিয়ে ইসলামী
ব্যাংকে যেতে হবে।
কৃষি লোন পরিশোধ করার সময় সীমা সাধারণত ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৬ মাস
থেকে এক বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। পশুপালন অথবা মৎস্য খাতে বিনিয়োগের
ক্ষেত্রে এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত পরিশোধ করার সময় প্রদান করা হয়। এবং
কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিশোধ করার সময় থাকে প্রায় তিন থেকে
পাঁচ বছর।
শেষ মন্তব্য: ইসলামী ব্যাংক প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫
প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ইসলামী ব্যাংক
প্রবাসী লোন পদ্ধতি ২০২৫ সম্পর্কে। আশা করা যায় এই পোস্ট আপনি যদি মনোযোগ
সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রবাসী লোন
নেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যদি পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগে
তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

.webp)
.webp)
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url