কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ: কোন দেশে কত টাকায় যাওয়া সম্ভব? (২০২৫)
ইউরোপের ২৬টি দেশের নাম ও তথ্য ২০২৫
ইউরোপ ভ্রমণ করার স্বপ্ন আমাদের অনেকেরই থাকে। কিন্তু ইউরোপের মতো দেশে
যাওয়ার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় সেই কথা ভাবতেই অনেকে পিছিয়ে
যায়। কিন্তু ইউরোপে এমন কিছু দেশ আছে যে দেশগুলোতে অল্প টাকার বিনিময়ে
ঘুরে আসতে পারবেন।
সাশ্রয়ী ফ্লাইট, কমদামের হোটেল এবং সস্তা খাবার সব মিলিয়ে ইউরোপ ভ্রমণ হতে পারে বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি। আজকে আমরা আলোচনা করব, কম খরচে ইউরোপের কোন দেশগুলো ভ্রমণের জন্য বেস্ট হবে, আনুমানিক খরচ, ভ্রমনের সময় এবং কিভাবে কম খরচে ঘুরে আসতে পারবেন সকল বিষয় সম্পর্কে।
পোস্ট সুচিপত্র ঃ কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
- কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
- বাংলাদেশ থেকে কোন দেশের ভিসা সবচেয়ে সহজ?
- শেনজেন ছাড়া আরও যেসব ইউরোপীয় দেশে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যায়
- বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার ধাপ
- বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না
- বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
- কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়
- শেষ মন্তব্য ঃ কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে আপনারা নিচের
দেশগুলোতে কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক
কোন দেশগুলোতে আপনারা অনেক কম খরচে ইউরোপের দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন:
- পর্তুগাল
- লিথুনিয়া
- লাটভিয়া
- ফিনল্যান্ড
- স্লোভাকিয়া
- সুইজারল্যান্ড
- মাল্টা
- হাঙ্গেরি
- নেদারল্যান্ড
ফ্রান্স
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ফ্রান্স শক্তিশালী এক রাষ্ট্র। এই দেশে টুরিস্ট ভিসা
পাওয়া যায় খুব সহজেই। তবে ভিসার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে
আপনাকে। এই দেশের স্টুডেন্ট ভিসা খুব সহজেই পাওয়া গেলেও কাজের জন্য ভিসা
পাওয়া কিছুটা কঠিন। তবে চেষ্টা করলেই কাজের জন্য ভিসাও পেয়ে যাবেন। হাজার হাজার
পুরনো ইতিহাস ফ্রান্সের।
এটি প্রথ্মে রোমান সাম্রাজ্যর একটা অংশ ছিল। পরে এটা ইউরোপের একটি শক্তিশালি
রাষ্ট্র ছিল ।ফ্রান্স ছিল সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত একটি দেশ। স্যুপ, পাস্তা এবং
পেস্ট্রির জন্যও বিখ্যাত ফ্রান্স। ফ্রান্সের রাজধানীর নাম হলো প্যারিস। প্যারিস
তার ইতিহাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যর জন্য বিখ্যাত পুরো বিশ্বে তাছাড়া ফ্রান্সে
রয়েছে সবচেয়ে পুরনো জাদুঘর লুভর মিউজিয়াম।
ফ্রান্সের ভাষা হলো ফরাসী। ফ্রান্সের মুদ্রা হলো ইউরো। এই দেশের খাবারের দাম
তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী। ফ্রান্সকে একসঙ্গে "প্রেমের দেশ" বিপ্লবের দেশ
,শিল্পের দেশ বলা হয়ে থাকে।
পর্তুগাল
পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়া খুবই সহজ। পর্তুগালকে অধিবাসীদের স্বর্গ বলা হয়ে
থাকে কারণ, এই দেশে সহজেই কাজের ভিসা,টুরিস্ট ভিসা,স্টুডেন্ট ভিসা সব ধরনের
ভিসা খুবই সহজেই পাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসায় পর্তুগাল যেতে হলে অবশ্যই IELTS
স্কোর কমপক্ষে ৬.00 থাকতে হবে।দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ হচ্ছে পর্তুগাল।
এই দেশের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরনো সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত এবং
চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী পরিচিত এই পর্তুগাল। পর্তুগাল এই দেশটি ফিশ ফ্র্যাইয়ের
জন্য সবচেয়ে বেশী বিখ্যাত। তাছাড়া দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর দিক দিয়েও
বিখ্যাত অনেক। এই দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য দ্বীপপুঞ্জ , সবুজ পাহাড় ,আটলান্টিক
মহাসাগরের দীর্ঘ উপকূলরেখা,গ্রাম ,শহর আরো অনেক কিছু রয়েছে ইউরোপের এই দেশ
পর্তুগালে।
জনপ্রিয় পোস্ট ঃ ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় ২০২৫
পর্তুগালের রাজধানীর নাম হলো লিসবন। যা ইতিহাস,প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য
বিখ্যাত। পর্তুগালের ভাষা হলো পর্তুগিজ। পর্তুগালের মুদ্রা হলো ইউরো। পর্তুগাল
এই দেশটির ভাষা বিশ্বের চতুর্থ রোমান্স ভাষা।
লিথুনিয়া
লিথুনিয়া একটি ইউরোপের দেশ । লিথুনিয়া এই দেশের শিক্ষার মান অনেক উন্নত ।
লিথুনিয়া এই দেশের জিবনযাত্রার মান এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো বেশী উন্নত ।
আপ্ইনাকে লিথুনিয়া দেশে যেতে হলে আপনার আনুমানিক ৬-৭ লক্ষ টাকা থাকতে হবে।
ইউরোপের দেশ হিসাবে লিথুনিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিসা আনুমোদন হারের
তুলনায়।
এই দেশে আপনি সহজেই যেতে পারবেন স্টুডেন্ট ভিসায় ,ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কিংবা
ট্যুরিস্ট ভিসায় যদি আপনার ওই দেশে যাওয়ার যোগ্যতা থাকে আর কাগজপত্র ঠিক থাকে।
আপনি ইউরোপের এই দেশ লি্থুনিয়া যেতে পারলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
লাটভিয়া
এই দেশে আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন। ভিসা অনুমোদনের হারের দিক দিয়ে ৩য়
অবস্থানে রয়েছে লাটভিয়া নামক এই দেশ।এই দেশে শিক্ষার জন্য গেলে ৫-৬ লাখ টাকা
দিয়েই আপনি ইউরোপের এই দেশে যেতে পারবেন। আর কাজের জন্যা গেলে আনুমানিক ১০-১৩
লক্ষ টাকা দিয়ে আপনাকে ইউরোপের এই দেশ লাটভিয়াতে যেতে হবে ।
এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। আপনি চাইলেই খুব সহজেই ইউরোপের এই দেশে
যেতে পারবেন ।
ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ড একটি স্বাধীন দেশ। এই দেশ উপরোক্ত সবগুলো দেশগুলোর চেয়ে বেশী উন্নত
আর বেশী আধুনিক। এই দেশে আপনি খুব সহজেই যেতে পারবেন। এই দেশে স্টুডেন্ট
ভিসায় গেলে আপনার আনুমানিক ৫-৬ লাখ টাকা থাকতে হবে। এবং ওয়ার্ক ভিসায় ইউরোপের
দেশ ফিনল্যান্ড যেতে আপনার আনুমানিক ১২-১৫ লাখ টাকা লাগতে পারে ।
ভিসার খরচ আপনি অনেক কমাতে পারেন যদি পরিচিত কারো মাধ্যমে ফিনল্যান্ড যেতে
পারেন । বিভিন্ন কোম্পানি বা এজেন্সির মাধ্যমে আপনার খরচা অনেক বেশী পড়বে।
শিক্ষার দিক দিয়েও এই দেশ অনেকাংশে উন্নত এবং আধুনিক। কম খরচে ইউরোপের
কোন দেশে যাওয়া যায়
স্লোভাকিয়া
স্লোভাকিয়া এই দেশে আপনি যদি যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে আনুমানিক ১০-১২
লক্ষ টাকা ।স্লোভাকিয়া এই দেশে আপনি খুবই সহজে ভিসা পাবেন । সহজেই যেসব দেশে
আপনি যেতে পারবেন সেই দিক দিয়ে সর্বশেষ অবস্থানে আছে স্লোভাকিয়া
নামক এই দেশটি। এই দেশটি অনেক উন্নত এবং আধুনিক সব দিক দিয়েই ।
শিক্ষার ও কাজের দিক দিয়ে আরো বেশী উন্নত এই
দেশ স্লোভাকিয়া। স্লোভাকিয়া এই দেশটিতে আপনি শিক্ষার জন্য যেতে
পারবেন অনেক কম টাকায়
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক আসে
বছরের বেশিরভাগ সময়। সুইজারল্যান্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এক
দেশ। সুইজারল্যান্ড এ আপনি ভিসার জন্য আবেদন করার পর কিছুদিনের
মধ্যেই ভিসা পেয়ে যাবেন। সুইজারল্যান্ড দেশটি অনেক সুন্দর হওয়ার কারনে সহজেই
ট্যুরিস্ট ভিসায় যেতে পারবেন আপনি সুইজারল্যান্ড ।
জনপ্রিয় পোস্ট ঃআলবেনিয়া বেতন কত এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি
পড়াশোনার জন্য সুইজারল্যান্ড যাওয়া হবে সবচেয়ে ভালো একটা সিদ্ধান্ত।
আপনাকে সুইজারল্যান্ড যেতে হলে আপনাকে
অবশ্যই IELTS স্কোর 4.00 এর উপরে থাকতে
হবে। সুইজারল্যান্ড এই দেশটিতে আপনি যদি কাজ করার জন্য যেতে চান তাহলে
আপনাকে অনেক কষ্ট করে সবকিছুর ব্যবস্থা করতে হবে। এই সুইজারল্যান্ড দেশে
যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাওয়া।
মাল্টা
মাল্টা এমন একটি দেশ যেখানে আপনি ইউরোপের মতো দেশে সহজেই যেতে পারবেন ।হোক সেটা
কাজের জন্য,কিংবা টুর, বা পড়াশোনা যেটাই হোক আপনি যদি যেতে চান তাহলে খুব
সহজেই যেতে পারবেন ইউরোপের মাল্টা দেশটিতে।ইউরোপের মাল্টা এই দেশে
৫-৬ লাখের মতো আনুমানিক খরচা হবে যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় যান ।
মাল্টা এই দেশটিতে প্রচুর শ্রমিক সংকট। বেশিরভাগ দেশের মানুষ মাল্টা এইসব দেশে
কাজের জন্য যেতে চান। কারণ এইসব দেশে শ্রমিক সংকট তাই কাজ করার পর ভালো টাকা
ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি ইউরোপের মাল্টা তে যেতে চান তাহলে
আপনাকে ভিসা নিয়ে তেমন কোন জটিলতার শিকার হতে হবে না খুব
সহজেই মাল্টা দেশের ভিসা পেয়ে যাবেন ।
হাঙ্গেরি
হাঙ্গেরি একটি উন্নতশীল রাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে এই দেশে কাজের জন্য কোনো
ভিসা এখন পর্যন্ত অণুমোদন করা হয়েছে চূড়ান্ত ভাবে ১০০% আবেদনকারী ব্যক্তিদের
৯০%ই ভিসার অনুমোদন পায় । পড়াশোঁনার জন্য এইসব দেশে যাওয়া সহজ এবং খরচ তেমন
লাগে না। এই দেশ অনেকাংশে উন্নত এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে অনেক ।
নেদারল্যান্ড
নেদারল্যান্ড দেশ এই দেশটি অনেক উন্নতশীল একটি দেশ। নেদারল্যান্ড এ
পড়াশোনার জন্য গেলে সহজেই ভিসা পাওয়া যায় কিন্তু আইএলটিএস স্কোর
6.00 থাকতে হবে । তা না হলে আপনি নেদারল্যান্ড যেতে পারবেন না।বিগত
কয়েকবছরে দেখা গেছে যেসকল শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন
করেন নেদারল্যান্ড এর জন্য তাদের অধিকাংশ ভিসা পেয়ে গেছে।
পোল্যান্ড (Poland) –
ইউরোপের মধ্যে কম খরচে ঘোরার জন্য সবচেয়ে বেস্ট দেশ হচ্ছে
পোল্যান্ড। বর্তমানে পোল্যান্ড দেশটি বাজেট ট্রাভেলারদের প্রথম
পছন্দ হয়ে উঠেছে। পোল্যান্ডে হোটেল রেট অনেক কম, খাবার খুব সস্তা
এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সাশ্রয়ী। এ দেশটিতে আপনারা আনুমানিক ৫০-৮০
ইউরো দিয়ে ঘোরাফেরা করতে পারবেন।
রোমানিয়া (Romania)
ইউরোপের সস্তা দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়া অন্যতম। কেননা আপনারা অনেক
কম খরচে ইউরোপের এই দেশ রোমানিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন। রোমানিয়া দেশটিতে
বাস এবং ট্রেনের ভাড়া তুলনামূলক সস্তা হয়ে থাকে। এবং এখানে আপনারা মনোরম
প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
বুলগেরিয়া (Bulgaria)
ইউরোপের সস্তা দেশগুলোর মধ্যের একটি দেশ হচ্ছে বুলগেরিয়া
(Bulgaria)। বুলগেরিয়া দেশটি গরমকালের ভ্রমণের জন্য
বিখ্যাত। এ দেশটিতে ব্ল্যাক সি বীচ ট্যুর সস্তা হয়ে থাকে এবং
থাকার জন্য হোটেল খরচ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ ভিসা হচ্ছে
শেনজেন ভিসা।আমাদের দেশের অনেকেই প্রতিনিয়ত পড়াশোনার জন্য অথবা কাজের
জন্য ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাই ইউরোপের বিভিন্ন
দেশে যাওয়ার জন্য শেনজেন ভিসা হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ।
জনপ্রিয় পোস্ট ঃ
সার্বিয়া বেতন কত ২০২৫
আপনারা যদি একবার কোনভাবে শেনজেন ভিসা পেয়ে যান তাহলে আপনারা
ইউরোপের ২৬ টি দেশে অবাধে ঘোরাফেরা করতে পারবেন। শেনজেন ভিসা ছাড়াও
আরো কিছু বিশাল হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন
করতে পারবেন। নিচে শেনজেন ভিসা দিয়ে ইউরোপের কোন দেশগুলোতে
যেতে পারবেন বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- ১ অস্ট্রিয়া (Austria)
- ২. বেলজিয়াম (Belgium)
- ৩. চেক রিপাবলিক (Czech Republic)
- ৪. ডেনমার্ক (Denmark)
- ৫. এস্তোনিয়া (Estonia)
- ৬. ফিনল্যান্ড (Finland)
- ৭. ফ্রান্স (France)
- ৮. জার্মানি (Germany)
- ৯. গ্রিস (Greece)
- ১০. হাঙ্গেরি (Hungary)
- ১১. আইসল্যান্ড (Iceland)
- ১২. ইতালি (Italy)
- ১৩. লাতভিয়া (Latvia)
- ১৪. লিচেনস্টেইন (Liechtenstein)
- ১৫. লিথুয়ানিয়া (Lithuania)
- ১৬. লুক্সেমবার্গ (Luxembourg)
- ১৭. মাল্টা (Malta)
- ১৮. নেদারল্যান্ডস (Netherlands)
- ১৯. নরওয়ে (Norway)
- ২০. পোল্যান্ড (Poland)
- ২১. পর্তুগাল (Portugal)
- ২২. স্লোভাকিয়া (Slovakia)
- ২৩. স্লোভেনিয়া (Slovenia)
- ২৪. স্পেন (Spain)
- ২৫. সুইডেন (Sweden)
- ২৬. সুইজারল্যান্ড (Switzerland)
আপনার যদি সেনজেন ভিসা থেকে থাকে তাহলে আপনি উপরে ২৬ টি দেশে খুব সহজেই কোনো
রকম সমস্যা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও এমন কিছু দেশ রয়েছে যেগুলোর
জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয়। শেনজেন ভিসা ব্যবহার করে এসব দেশে আপনারা
ভ্রমণ করতে পারবেন না।
শেনজেন ছাড়া আরও যেসব ইউরোপীয় দেশে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যায়
ইউরোপের মধ্যে এমন কিছু দেশ রয়েছে যে দেশগুলোতে আপনারা সেনজেন ভিসা ব্যবহার করে
যেতে পারবেন না। সে দেশগুলো ভ্রমণ করতে আপনার আলাদা ভিসার প্রয়োজন
হবে। ইউরোপ মহাদেশে মোট 44 টি দেশ রয়েছে, কিন্তু এ সকল দেশ সেনজেন ভিসার
আওতাভুক্ত নয়। নিচে আপনাদের সাথে শেনজেনের বাইরে ইউরোপের
দেশগুলো সম্পর্ক আলোচনা করা হলো।
যুক্তরাজ্য (United Kingdom – UK)
বাংলাদেশীদের জন্য যুক্তরাজ্যের ভিসা সাধারণত তুলনামূলক কঠিন হয়ে
থাকে। তবে সঠিকভাবে সকল ডকুমেন্ট জমা দিলে ভিসা পাওয়ার চান্স অনেক
বৃদ্ধি পায়। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, এবং নর্থ
আয়ারল্যান্ড দেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই যুক্তরাজ্যের ভিসা প্রয়োজন হবে।
আয়ারল্যান্ড (Ireland)
ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আয়ারল্যান্ডের ভিসা পেতে
হবে। আপনারা সেনজেন ভিসায় কোনভাবেই ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে প্রবেশ
করতে পারবেন না। আয়ারল্যান্ডে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই Irish Visa
করতে হবে।
আলবেনিয়া (Albania)
ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আলবেনিয়া দেশের ভিসা পেতে
হবে। এদেশের ভিসা পাওয়া ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় তুলনামূলক সহজ
এবং সাশ্রয়ী। আপনারা যারা কম খরচে ইউরোপের দেশ ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য
বেস্ট অপশন হচ্ছে আলবেনিয়া দেশটি।
সার্বিয়া (Serbia)
সার্বিয়া দেশটিতে আপনারা সেনজেন ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন না। সার্বিয়া
দেশটিতে যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সার্বিয়ার ভিসা পেতে হবে। কয়েক বছর আগেও
বাংলাদেশীদের জন্য সার্বিয়ার ভিসা ফ্রি ছিল। এ দেশটিতে যেতে হলে আপনাকে
অবশ্যই আলাদা ভিসার প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার ধাপ
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার ধাপ সম্পর্কে এখন আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা
করা হবে। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের যে কোন দেশে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই
কিছু ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। বিস্তারিত জানার জন্য এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন।
ইউরোপের যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য আপনার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে আপনাকে
সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান। আপনি যদি সেনজেন ভিসা
নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি ইউরোপের প্রায় 27 টি দেশ ঘোরাফেরা করতে
পারবেন।
শেনজেনের জনপ্রিয় দেশ:
- ফ্রান্স
- জার্মানি
- ইতালি
- স্পেন
- নেদারল্যান্ডস
শেনজেন ছাড়া ইউরোপের দেশ:
- যুক্তরাজ্য
- আয়ারল্যান্ড
- আলবেনিয়া
- সার্বিয়া
- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
- মোলডোভা
তারপর আপনি যদি ভ্রমণের জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে টুরিস্ট ভিসার
জন্য আবেদন করতে হবে এবং আপনি যদি পড়াশোনা জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এছাড়াও যদি কাজের জন্য যেতে চান
সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তারপর আপনাকে ভিসার
জন্য প্রয়োজনে ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ)
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (৬ মাস)
- ব্যাংক সলভেন্সি
- চাকরি/ব্যবসার প্রমাণ
- এনআইডি ও জন্মসনদ
- ভ্রমণ পরিকল্পনা (Travel Itinerary)
- হোটেল বুকিং
- রিটার্ন এয়ার
- ভ্রমণ বিমা (Travel Insurance — ৩০,০০০ ইউরো কভারেজ)
উপরের উপরে ডকুমেন্টগুলো আপনারা অবশ্যই প্রয়োজন হবে ইউরোপের যে কোন দেশে
যাওয়ার জন্য। ভিসার জন্য আবেদন করুন এবং ভিসা ফি পরিশোধ করুন।
বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না
বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় না সে সম্পর্কে জানতে আপনারা
অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। কিন্তু সঠিক তথ্য আপনারা পাননা। তাই
আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে
যাওয়া যায় না সে সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে এ পোস্ট মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন।
জনপ্রিয় পোস্ট ঃইতালিতে শ্রমিকদের বেতন কত এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি
সাধারণত বাংলাদেশ থেকে প্রায় পৃথিবীর সকল দেশেই ভ্রমণ করার সুযোগ রয়েছে
শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট দেশ ব্যতীত। তবে কিছু দেশ আছে যেখানে আইনগত
নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক সম্পর্ক, অথবা পরিস্থিতিগত কারণে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ করা
কঠিন বা প্রায় অসম্ভব। নিচে সে সকল দেশের তালিকা প্রকাশ করা হলো যে
দেশগুলোতে ভ্রমণ করা ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠিন।
ইস্রায়েল (Israel)
বাংলাদেশীদের জন্য ইসরায়েল দেশটিতে ভ্রমণ করা সম্পূর্ণ
নিষিদ্ধ। কেননা বাংলাদেশীদের পাসপোর্টে স্পষ্ট লেখা থাকে “This
passport is valid for all countries of the world except Israel.” অর্থাৎ
বাংলাদেশ থেকে ইসরাইলে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।
ইউক্রেন (Ukraine)
বাংলাদেশ থেকে ইউক্রেনের ভিসা পাওয়া যায় কিন্তু চলমান ইউক্রেন- রাশিয়া
যুদ্ধের কারণে াভিসা পাওয়া তুলনামূলক কঠিন। এছাড়াও ইউক্রেন
দেশটিতে যুদ্ধের কারণে ফ্লাইট সংখ্যা খুবই সীমিত হয়ে থাকে। এবং এ দেশের
নিরাপত্তা ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
সিরিয়া (Syria)
বাংলাদেশীদের জন্য সিরিয়ার ভিসা পাওয়া যায় কিন্তু সিরিয়া দেশটিতে ভ্রমন করা
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা সিরিয়া দেশটিতে সবসময় যুদ্ধ লেগেই থাকে
পাশাপাশি এদেশটিতে সন্ত্রাস অনেক বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া এ দেশটিতে
নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক বেশি।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৫
বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে
জানতে আপনারা অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগলসহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করে
থাকেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব বাংলাদেশের
পাসপোর্ট দিয়ে কোনরকম ভিসা ছাড়া আপনারা কোন কোন দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন সে
সম্পর্কে।
আমাদের দেশের অনেকে মনে করেন যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে অন্যান্য দেশ
ভ্রমণ করার সুযোগ কম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ২০২৫ সালে আপনারা বাংলাদেশের
পাসপোর্ট ব্যবহার করে বেশ কিছু দেশে ভিসা ছাড়া, ভিসা-অন-অ্যারাইভ, বা
ই-ভিসা সুবিধা নিয়ে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন। এসব দেশের বেশিরভাগ
অবস্থিত এশিয়া, আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান ও ওশেনিয়া অঞ্চলে।
ভিসা ছাড়া (Visa-Free) যেসব দেশে যেতে পারবেন
আপনারা শুধুমাত্র বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে কোন রকম ভিসা ছাড়া নিচের
দেশগুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। ভিসা ছাড়া ভ্রমন করার জন্য দেশগুলো
হচ্ছেঃ
- বাহামাস
- বার্বাডোস
- কুক দ্বীপপুঞ্জ
- ডোমিনিকা
- ফিজি
- গ্রেনাডা
- জ্যামাইকা
- কিরিবাতি
- মাইক্রোনেশিয়া
- মন্টসারাট
- সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
- সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনস
- ট্রিনিডাড অ্যান্ড টোবাগো
- ভানুয়াতু
উপরের দেওয়া দেশগুলো আপনারা শুধুমাত্র বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে কোন
রকম ভিসার ঝামেলা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই
অর্থনৈতিক প্রমাণ, রিটার্ন টিকেট, এবং হোটেল বুকিং এর প্রমাণ থাকতে
হবে। এ সকল শর্ত পালন করতে পারলেই আপনার কোন ভিসার প্রয়োজন
হবে না।
ভিসা-অন-অ্যারাইভ (Visa On Arrival) সুবিধা যেসব দেশে
ভিসা-অন-অ্যারাইভ সুবিধা সম্পর্কে আপনার অনেকেই জানেন
না।ভিসা-অন-অ্যারাইভ হচ্ছে এয়ারপোর্টে নেমেই ভিসা পাওয়া যায়। আপনার
যদি একটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকে তাহলে আপনারা নিচের
দেশগুলোতে ভিসা-অন-অ্যারাইভ সুবিধা পেয়ে যাবেন। দেশগুলো হচ্ছেঃ
- ভুটান
- মালদ্বীপ
- নেপাল
- কমোরো দ্বীপপুঞ্জ
- বুরুণ্ডি
- জিবুতি
- গিনি-বিসাউ
- ক্যাম্বোডিয়া
- সামোয়া
- মাদাগাস্কার
- মোজাম্বিক
- রোয়ান্ডা
- সিয়েরা লিওন
- শ্রীলঙ্কা (ETA প্রয়োজন)
- তুভালু
- টিমর-লেস্তে
এ দেশগুলোতে ভিসা ছাড়া যাওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬
মাস থাকতে হবে এবং আপনাকে অগ্রিম ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। তাহলে আপনারা
ভিসা ছাড়া ভিসা-অন-অ্যারাইভ সুবিধা নিতে পারবেন।
ই-ভিসা (e-Visa) সুবিধা পাওয়া যায় যে দেশগুলোতে
ই-ভিসার সুবিধা হচ্ছে আপনারা ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা মোবাইল অথবা ল্যাপটপের
মাধ্যমে অনলাইনে মাধ্যমে ই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পৃথিবীর অনেক দেশ
বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা করে ভ্রমণ অনুমতি দেয়। এর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য:
- শ্রীলঙ্কা (ETA)
- কেনিয়া
- তুরস্ক
- আজারবাইজান
- জর্জিয়া
- ইথিওপিয়া
এগুলো দেশের ই ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ ধরনের হয়ে থাকে
এবং ই-ভিসা প্রক্রিয়া তুলনামূলক দ্রুত।
ভ্রমণের আগে অবশ্যই যা দেখে নেবেন
যে কোন দেশ ভ্রমণের আগে অবশ্যই কিছু বিষয় দেখে নিশ্চিত হওয়া উচিত। নিচে
ভ্রমণের আগে কোন বিষয়গুলো অবশ্যই দেখে নেয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করা
হলোঃ
- পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে
- রিটার্ন টিকিট ও হোটেল বুকিং
- পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ
- গন্তব্য দেশের সাম্প্রতিক ভিসা নিয়ম
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫ সেই সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা
অনেকেই প্রতিনিয়ত গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করে
থাকেন। ইউরোপ ভ্রমণ করা বাংলাদেশীদের অনেকের স্বপ্ন। কিন্তু আমরা
জানি না ইউরোপের দেশ ভ্রমণ করতে আনুমানিক খরচ কত হতে পারে?
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাউন্ড-ট্রিপ টিকিট এর প্রাইজ
সাধারণত ৮০,০০০ – ১,৫০,০০০ টাকা (ইকোনমি ক্লাস) পর্যন্ত হয়ে থাকে। অফ সিজনে
টিকেটের দাম সাধারণত কিছুটা কম হয়ে থাকে। ইউরোপের মধ্যে ভ্রমণ
করার জন্য জনপ্রিয় কিছু রুট হচ্ছে জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স,
নেদারল্যান্ডস, স্পেন।
উদাহরণ:
- ঢাকা → ইতালি: প্রায় ৭০,০০০ – ৯০,০০০ টাকা
- ঢাকা → লন্ডন: প্রায় ৯০,০০০ – ১,৩০,০০০ টাকা
ইউরোপের প্রায় 27 টি দেশ ভ্রমন করার জন্য শুধুমাত্র একটি শেনজেন ভিসার
প্রয়োজন হয়। আপনার যদি একটি সেনজেন ভিসা হয়ে যায় তাহলে আপনি একটি
ভিসা ব্যবহার করে ইউরোপের প্রায় 27 টি দেশ কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ভ্রমণ
করতে পারবেন। একটি সেনজেন ভিসা তৈরি করার জন্য আপনার তুলনামূলক খরচ হতে
পারে।
- ভিসা ফি: ৭,০০০ – ১২,০০০ টাকা
- ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স: ১,০০০ – ৩,০০০ টাকা
- ভিসা সেন্টার সার্ভিস চার্জ: ১,৫০০ – ২,০০০ টাকা
সেনজেন ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরির
সনদ, ভ্রমণ পরিকল্পনা ইত্যাদি প্রয়োজন।
কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়
কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা অনেকেই
প্রতিনিয়ত গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করে
থাকেন। তাই, আপনারা যারা কম টাকায় দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক
তাদের জন্য আজকের পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই পোস্টে
আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব সবচেয়ে কম খরচে ভ্রমণ করা যায় এমন কিছু দেশ
সম্পর্কে।
নেপাল ( Nepal)
কম খরচে দেশের বাইরে ভ্রমণ করার জন্য সবচেয়ে বেস্ট এবং বাজেট ফ্রেন্ডলি
দেশ হচ্ছে নেপাল। নেপালে আপনারা অনেক কম খরচে ভ্রমণ করতে
পারবেন। বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়ার জন্য সাধারণত বিমান
ভাড়া ১৫,০০০ – ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। নেপালে গিয়ে থাকার
জন্য হোটেল ভাড়া সাধারণত প্রতি রাতের জন্য ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে
থাকে এবং খাওয়া খরচ সাধারণত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।
ভুটান ( Bhutan)
কম খরচে দেশের বাইরে ভ্রমণ করার জন্য দ্বিতীয় অপশন হচ্ছে
ভুটান। বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাওয়ার জন্য সাধারণত বিমান
ভাড়া ২০,০০০ – ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও থাকার
জন্য হোটেল ভাড়া ১,৫০০ – ২,৫০০ টাকা। এবং খাওয়ার জন্য প্রত্যেকদিন
আনুমানিক খরচ হতে পারে এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।
ইন্ডিয়া ( India)
আপনারা যদি সবচেয়ে সস্তা আন্তর্জাতিক টিপ দিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার
জন্য সবচেয়ে বেস্ট অপশন হচ্ছে ইন্ডিয়া। কেননা, ইন্ডিয়া আমাদের
প্রতিবেশী দেশ। আমরা চাইলে বাস অথবা ট্রেন ব্যবহার করে ইন্ডিয়া যেতে
পারবেন। আর আপনি যদি বিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় যেতে চান
সেক্ষেত্রে আপনার ফ্লাইট টিকেট হতে পারে ১০,০০০ – ২০,000 টাকা
(দিল্লি/কলকাতা)
শ্রীলঙ্কা ( Srilanka)
কম খরচে ভ্রমণ করার জন্য আরেকটি বেস্ট দেশ হচ্ছে শ্রীলংকা। আপনারা অনেক কম
করেছে শ্রীলংকা দেশটিতে ভ্রমন করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে শ্রীলংকা
যাওয়ার জন্য সাধারণত বিমান ভাড়া লাগতে পারে ২৫,০০০ – ৩৫,০০০
টাকা। এবং শ্রীলংকা গিয়ে থাকার জন্য হোটেল ভাড়া লাগতে পারে
সাধারণত ১,৫০০ – ৩,০০০ টাকা।
মালয়েশিয়া( Maleysia)
বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণের জন্য মালয়েশিয়া একটি বেস্ট অপশন। আপনারা অনেক কম খরচে
মালয়েশিয়া দেশটি ভ্রমন করার সুযোগ পেয়ে যাবেন. বাংলাদেশ থেকে
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া লাগতে পারে সাধারণত ২৫,০০০ – ৩৫,০০০
টাকা। এবং মালয়েশিয়া গিয়ে থাকার জন্য হোটেল ভাড়া সাধারণত ১,৫০০ –
৩,০০০ টাকা এবং খাওয়ার খরচ ৬০০ – ১,০০০ টাকা।
শেষ মন্তব্য ঃ কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা
করার চেষ্টা করেছি কম খরচে ইউরোপের কোন দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন সে
সম্পর্কে. এছাড়াও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া
যায় সে সম্পর্কে। যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ
.webp)

.webp)
ইউনিকমিস্ট্রির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন আমরা আপনাদের পজিটিভ কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি
comment url